1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
শালিখায় দোল উৎসবে আবিরের রঙে সবাই রঙিন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

শালিখায় দোল উৎসবে আবিরের রঙে সবাই রঙিন

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪
  • ৮৭ জন খবরটি পড়েছেন

লক্ষ্মণ চন্দ্র মন্ডল,শালিখা (মাগুরা)। মাগুরার শালিখায় নানা আয়োজনে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম উৎসব দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের কালিবাড়ি ও অভয়াচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে শত শত লোকের আগমনে দোলযাত্রা বা হোলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

২৫ মার্চ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ হোলি খেলায় মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য লোকজন অংশগ্রহণ করে এবং তারা একে অপরের মুখে লাল, নীল, সবুজ, হলুদ গোলাপীসহ বিভিন্ন রং একে অপরের মুখে মাখিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নাচ গানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে।

হিন্দুধর্মের অন্যতম জনপ্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য উৎসব দোলযাত্রা বা হোলি খেলা। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, বৃন্দাবনে রাধা ও কৃষ্ণের দ্বারা হোলি খেলা উৎসব পালিত হয়েছিল। হোলিকা দহন কিংবদন্তি অশুভ শক্তির বিপরীতে শুভের জয় নির্দেশিত করে। এটির উদ্ভব ভারতীয় উপমহাদেশে এবং সেখানে বেশি উদযাপিত হয় তবে দক্ষিণ এশীয় প্রবাসীদের মাধ্যমে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল এবং পশ্চিমা বিশ্বের কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এই উৎসবের অপর নাম বসন্ত উৎসব বা দোল পূর্ণিমা।

ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা বা হোলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দের উপর ভালোর জয়, রাধা কৃষ্ণের ঐশ্বরিক প্রেমের উদযাপনে বসন্ত ঋতুর আগমনে এ উৎসবটি পালন করা হয় । হোলির আগের রাতে হোলিকা দহন, রঙিন রং বা আবির দিয়ে খেলা, নাচ, শুভেচ্ছা, উৎসবের সুস্বাদু খাবার বিতরণ করা হয়। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন
সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলাল হাতে করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা
নামেও অভিহিত করা হয়।

দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রয়েছে অনেক আগে থেকেই। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ধসঢ়;ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বহ্ধসঢ়;ন্যুৎসব হোলিকা দহন বা ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়। বাঙালি হিন্দুদের পৌরাণিক উপাখ্যান ও লোককথাগুলোতে এই উৎসকে্য়ঁ ড়ঃ;বসন্ত উৎসব্য়ঁড়ঃ; হিসেবে উল্লেখ পাওয়া যায়। হিন্দু বৈষ্ণবরা এটি বেশ আয়োজনের
সাথে পালন করে থাকেন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews