বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা ও মোস্তাফিজ। অভিষেক ম্যাচে দারুণ বোলিং-ই করেছেন ২২ বছরের নাহিদ। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৪০ রান খরচায় ১ মেডেনের পাশাপাশি ২ উইকেট নেন তিনি। এদিন গতিতে তিনি বেশ ভুগিয়েছিলেন আফগান ব্যাটারদের। ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতিতে বল করে করেছেন রেকর্ডও। বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে কোনো বোলারের এত বেশি গতিতে বল করার রেকর্ড নেই আর কারও।
প্রথম ম্যাচে ৯২ রানের হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৮ রানের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়াতে হলো টাইগারদের। তাতে শারজাহতে নিজেদের রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখলো আফগানিস্তান। ২০১৮ সালের পর থেকে এ মাঠে কোনো সিরিজ হারেনি তারা। গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের নৈপুণ্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ।
২৪৫ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে আফগানদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪১ রান। অষ্টম ওভারে বল করতে এসে এই জুটি ভাঙেন নাহিদ রানা। বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নামা এই পেসারের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন আফগান ওপেনার সাদিকুল্লাহ (১৪)। এরপর দলীয় ৬৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। মুস্তাফিজের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন তিনে নামা রহমত শাহ (৮)। কিন্তু জীবন পাওয়া রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১০০ রানের জুটি গড়েন। সেঞ্চুরি করা গুরবাজকে ফিরিয়ে ওই জুটি ভাঙেন মেহেদী মিরাজ। ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ১২০ বলে ১০১ রান করেন গুরবাজ।
দলীয় ১৮৮ রানে নতুন স্পেলে বোলিংয়ে ফিরেই নাইবকে ফেরান নাহিদ। জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ বলে ১ রান করে ফেরেন নাইব। জয়ের জন্য ৩০ বলে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ৩৩ রান। ওমরজাই-মোহাম্মদ নবীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। অপরাজিত থেকে ওমরজাই ৭০ এবং নবী ৩৪ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও নাহিদ রানা। ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়েছেন নাসুম।