মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ, শরণখোলা প্রতিনিধি। শরণখোলা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছেলের বাড়ির সামনে অনশন করছে।
বিয়ের দাবিতে নবম শ্রেণীর ছাত্রী তামান্না আক্তার শরণখোলা উপজেলার ২ নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের উত্তর খোন্তাকাটার আলী আকবরের মেয়ে। আলী আকবরের ২ মেয়ে মধ্যে তামান্না আক্তার ছোট মেয়ে। তামান্না আক্তার বানিয়াখালি গার্লস স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
জানা গেছে,তামান্না আক্তার একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মধ্য খোন্তাকাটার মোছেদুল হাওলাদারের ছেলে আরিফুলের বাড়ির সামনে সোমবার সকাল ৯ টা থেকে না খেয়ে বিয়ের দাবিতে ঘরের দরজার সামনে বসে থাকে। আরিফুল এই খবর পেয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। নবম শ্রেণীর ছাত্রী তামান্না আক্তার বিয়ের দাবিতে আরিফুলের বাড়ির সামনে বসে থাকার খবর শুনে এলাকাবাসী ও গ্রামবাসীরা ছুটে আসে।
নবম শ্রেণীর ছাত্রী তামান্না আক্তার বলেন আরিফুলের সাথে দীর্ঘ ছয় মাসের প্রেমের সম্পর্ক থেকে গভীর সম্পর্কে রূপ নেয়। আরিফুল বিয়ের আশ্বাসে অনেকবার তামান্না আক্তারের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আরিফুল কে বারবার বিয়ের কথা বললে তিনি কিছুদিন সময় চেয়ে এড়িয়ে যায়। যখন তামান্নার কথা আরিফুল রাখছে না তখন তামান্না নিরুপায় হয়ে আরিফুলের বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু আরিফুলের বাড়ি কেউ না থাকায় আরিফুলের প্রতিবেশী নানা আব্দুল জব্বার খান তামান্নাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আব্দুর জব্বার খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন একটা মেয়ে খালি খালি একটা ছেলের বাড়িতে বিয়ের জন্য আসে না অবশ্যই এদের মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে তাই সামাজিকভাবে রীতিনীতি ও ধর্মীয় শরীয়ত মোতাবেক বিয়ের আয়োজন করব।
তামান্নার বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত আরিফুলের কাছে জানতে চাওয়ার জন্য ফোন দেওয়া হলে তার মুঠোফোন বন্দ পাওয়া যায়।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।