রফিকুল ইসলাম দেবহাটা প্রতিনিধি। দেবহাটায় রপ্তানি যোগ্য চিংড়ির ওজন বাড়াতে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে দুই ব্যক্তিকে দুই লক্ষ্য টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামানের ভ্রাম্যমান আদালতে সাবু, জেল পুশসহ ১২০ কেজি মাছ জব্দ করার পরে এই শাস্তি প্রদান করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী উত্তম কুমার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মৎস্য ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন সুজন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাচের সেট সংলগ্ন এলাকায় সুজন ও উওম,পারুলিয়া মাছের ঘরে রপ্তানির পূর্বে গলগা চিংড়িতে সাবু, জেল জাতীয় দ্রব্য পুষ করে ওজন বাড়ানোর কাজ করে আসছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ১১ টায় ঘরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সাথে ছিলেন দেবহাটা থানা কর্মকর্তা হযরত আলী,মেরিন এন্ড ফিসারিজ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন,এস আই রিয়াজুল ইসলাম,পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু জামায়েত নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া,নির্বাহী অফিসারের বেঞ্চ সহকারী সাদেক হোসেন ছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়াকর্মীরা।
অভিযান কালে চিংড়িতে পুষ করার সামগ্রী ও পুষ করা গলদা চিংড়ি মাছ জব্দ হয়। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে আটক করে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে। চিংড়ি মাছে পুষ করার অপরাধে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০২০) এর ৩১ এর ১ ধারায় তাদেরকে টাকা অর্থদন্ড করা হয়। সেই সাথে ওই ব্যক্তি ভবিষতে এমন কাজ করবেন না এই মর্মে অঙ্গিকার করেন ওই ব্যবসায়ী। এদিকে জব্দকৃত ১২ কারেট ১২০ কেজি মাছ ও পুষ কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান জানান, সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম সম্পদ মৎস্য শিল্প। কিন্তু কিছু মানুষ অতি মুনাফার আশায় চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুষ করে আসছেন। এতে এই জেলার মাছের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। চিংড়ির সুনাম ফেরাতে এবং নিরাপদ মাছ রপ্তানির জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অপদ্রব্য মেশানোর বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।