দেবহাটা প্রতিনিধি। দেবহাটা উপজেলা সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপুল পরিমাণের বই বিক্রির করার পর সেই বই ছুটির দিনে অর্থাৎ ৩০শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে নিয়ে যাবার সময় স্থানীয় জনতা হাতেনাতে ধরিয়া, উক্ত বইসহ তিন ভ্যান থানায় জমা দেন। সেটাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনতা ১ লা ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল দশটায় ৩০ মিনিটে স্থানীয় সখিপুর মোড়ে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দূর্ণিতীবাজ ও লুটতারাজকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ তৌহিদুজ্জামান তোহিদ ও তার সহযোগী পিওন ফারুক হোসেন কে অপসারন করার জন্য জোর দাবি করেন। উল্লেখ্য, সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহযোগী মিলিয়া বৃহস্পতিবার রাতের আধারে বইগুলো বিক্রি করে দেন সাতক্ষীরার এক ব্যবসায়ীর কাছে। কমিটি বা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এই বই বিক্রি করেন তারা। এক পর্যায়ে রাতের আধারে বিদ্যালয় থেকে একের পর এক যখন বই ভর্তি ভ্যান বের হতে থাকে তখন ছাত্রজনতার সন্ধেহ হয়। পরে সখিপুর কলেজ মোড়ে এসে একটি ভ্যানের গতিরোধ করে জিজ্ঞাসা করলে গোপনে বই বিক্রির বিষয়ের সত্যতা মেলে। ততক্ষনে বাকি ভ্যান ভর্তি বই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে সক্ষম হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন উপস্থিত ছাত্রজনতা। এরপর ওই ভ্যান ভর্তি বই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন চত্বরে আনা হলে, সেখানে খবর পেয়ে হাজির হন একাধীক অভিভাবকরা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বইগুলো দেবহাটা থানা পুলিশের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন।
পরদিন শুক্রবার উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও দেবহাটা থানার ওসির উপস্থিতিতে বইগুলো যাচাই বাছায় করা হয়। এসময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বইগুলো বাছাই করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমি বিষয়টি শোনার পর একাডেমিক সুপারভাইজার ও থানার ওসির মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বইগুলো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছি।
এদিকে, এঘটনা কেন্দ্র করে সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শনিবার সকাল ১০ টায় সখিপুর মোড়ে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির ও অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেন।