ইসরাইল সরাসরি গাজা উপত্যকাকে বিচ্ছিন্ন করে সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ। বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দেন।
দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনিসের মধ্যবর্তী মোরাগ করিডোরে ইসরাইলি বাহিনীর অবস্থান পরিদর্শনের সময় কাৎজ বলেন, “গাজা উপত্যকাকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।” তিনি জানান, অভিযানের উদ্দেশ্য হল হামাসকে পরাস্ত করা এবং গাজায় আটক ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করতে চাপ বাড়ানো।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, ইসরাইলি বাহিনী বিস্তৃত এলাকা দখল করে সেগুলোকে ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ হিসেবে ইসরাইলের সাথে যুক্ত করছে, যার ফলে গাজা ক্রমশ ছোট ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
তিনি ঘোষণা করেন, শিগগিরই গাজায় একটি নতুন করিডোর—মোরাগ—প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, যা হবে নেতজারিম করিডোরের মতো। এটি গাজার উত্তরাংশকে মধ্য ও দক্ষিণাংশ থেকে আলাদা করবে। তার ভাষায়, “এটি খান ইউনিস ও রাফাহর মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হামাসের কর্মকাণ্ড আরও কঠিন করে তুলবে।”
আরও উদ্বেগজনকভাবে, কাৎজ বলেন, ইসরাইল এখন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ভিশন’-এর ভিত্তিতে গাজাবাসীদের জন্য ‘স্বেচ্ছাসেবী অভিবাসন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
এই বক্তব্য ইসরাইলি দখলদার রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং জনবসতি পরিবর্তনের কৌশলকে সরাসরি তুলে ধরেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।