1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
সামরিক ব্যয়ে ১০ গুণ পার্থক্য, তবু প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ন

সামরিক ব্যয়ে ১০ গুণ পার্থক্য, তবু প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ৫৮ জন খবরটি পড়েছেন

নিউজ ডেস্ক।

দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘদিনের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এখন একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে—ড্রোন প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায়। এই আধুনিক যুদ্ধযন্ত্রের ব্যবহারে দুই পক্ষই নিজেদের সামরিক সক্ষমতা জোরদার করছে। যদিও সীমান্তে বড় কোনো সরাসরি যুদ্ধ দীর্ঘদিন হয়নি, তবুও সামরিক প্রস্তুতি ও প্রযুক্তির দিক থেকে উভয় দেশই পরস্পরের প্রতি নজর রাখছে।

প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে ড্রোন শক্তি

ড্রোন প্রযুক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই এই প্রযুক্তিকে আধুনিকায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ভারত বর্তমানে বিশ্বের ড্রোন-ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। ভারতের হাতে আছে প্রায় ৬২৫টি ড্রোন, যার মধ্যে রয়েছে ইসরাইলি প্রযুক্তির হারোপ, আত্মঘাতী কামিকাজি ড্রোন এবং নজরদারি ড্রোন—পাঞ্ছি, নিশান্ত ও নেত্রা।

অন্যদিকে, পাকিস্তানও পিছিয়ে নেই। দেশটি তুরস্কের বায়রাখতার টিবি-টু ও আকিনজি ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধোপযোগী ড্রোন সংগ্রহ করেছে। এছাড়া চীন, ইতালি ও জার্মানির বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং নিজস্ব তৈরি ড্রোন মিলিয়ে পাকিস্তানের ভাণ্ডারও উল্লেখযোগ্যভাবে সমৃদ্ধ।

সামরিক ব্যয়ের ব্যবধান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক বাজেটেও রয়েছে বড় ধরনের পার্থক্য। ভারতের বার্ষিক সামরিক বাজেট যেখানে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, পাকিস্তানের ব্যয় সেখানে মাত্র ৭.৫ বিলিয়ন। অর্থাৎ, ভারত পাকিস্তানের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি ব্যয় করছে প্রতিরক্ষা খাতে। এই ব্যবধান স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে অস্ত্র, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও।

ভবিষ্যতের ঝুঁকি ও কৌশলগত প্রভাব

বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের সামরিক প্রতিযোগিতা একটি অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উপাদান হতে পারে, বিশেষ করে যখন উভয় দেশের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রও রয়েছে। যদিও দুই দেশই সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলছে, তথাপি সীমান্তে ছোটখাটো সংঘর্ষ, গোয়েন্দা তৎপরতা ও প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা ক্রমেই বাড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে কূটনৈতিক সংলাপ এবং আঞ্চলিক শান্তিরক্ষায় আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা। দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় দুই দেশের মধ্যে আস্থা গড়ার উদ্যোগ ও তথ্য প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারই হতে পারে উত্তেজনা প্রশমনের পথ।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews