ডেস্ক নিউজ।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা উৎপাদন, রোপণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন-১ অধিশাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের সকল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এই দুটি প্রজাতির গাছ ব্যবহার নিষিদ্ধ বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত পানি শোষণ ও মাটি রুক্ষ করে তোলার কারণে এসব গাছ দেশের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
বন-১ অধিশাখার উপসচিব তুষার কুমার পাল বলেন, এই গাছগুলো আগ্রাসী প্রজাতির হওয়ায় অন্যান্য উদ্ভিদের জন্মে বাধা সৃষ্টি করে। তাই দেশি প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণের দিকেই এখন জোর দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর মতে, দেশি প্রজাতিকে গুরুত্ব দিয়ে বনায়নের এই সিদ্ধান্ত একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন, অনুর্বর ও অবক্ষয়িত মাটিতে এই গাছগুলো টিকে থাকতে পারে—এ দিকটিও সরকারের বিবেচনায় আনা যেতে পারে।
ইউক্যালিপটাস গাছ প্রথম বাংলাদেশে আসে ১৯২১ সালে, সিলেটের চা-বাগান অঞ্চলে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্দেশ্যে। পরবর্তীতে ১৯৭৭–৭৮ সালে এটি বড় আকারে বিস্তার লাভ করে। একই সময়ে আকাশমণিও বাংলাদেশে প্রবেশ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউক্যালিপটাস দ্রুত বাড়ে এবং এর বিস্তারে অন্য প্রজাতির গাছের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হয়।