মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার তৃতীয় দিনেও ক্ষতবিক্ষত পড়ে আছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অংশ। সেদিন ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীরা বলছে, ক্যাম্পাসের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমান দেখতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ত যেসব শিক্ষার্থী, তাদেরই এখন ভয়ে বুক কেঁপে ওঠে বিমানের শব্দে।
বুধবার (২৩ জুলাই) সরেজমিন দেখা যায়, নিস্তব্ধ নীরবতায় বিবর্ণ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস। দুদিন আগেও যে ক্যাম্পাস ছিল কচিকাঁচাদের কোলাহলে মুখরিত, সেই প্রাঙ্গণে এখন কেবলই বিষাদের ছায়া। কত চেনা মুখ হারিয়ে গেছে কোনো এক অচেনা পথে। যেখানে বন্ধুদের সঙ্গে আর আড্ডা হবে না, একসঙ্গে খাওয়া হবে না টিফিন, জমানো গল্পগুলোও রয়ে যাবে মনের গহিনে। এটুকুন বয়সে এত বড় বিয়োগের অঙ্ক কীভাবে মেলাবে কোমল হৃদয়গুলো।
একটা সময় যে ক্যাম্পাসের আনন্দের গল্পগুলো ছিল গর্বের, আজ তা শুধুই বিষাদের। যে বিমানের শব্দে আকাশের দিকে তাকিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ত, আজ সে শব্দ কেবলই ভয়ের।
আবারও হয়তো ফিরবে কচি প্রাণেরা এই প্রাঙ্গণে, দেয়ালজুড়ে খেলে উঠবে রং-তুলি, হেসে উঠবে ফুলেরা। কিন্তু যেই ক্ষত তৈরি হলো মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসজুড়ে, কী করে মিটবে সে শূন্যতা?