জোর করে কোচিং করানোর কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের যৌক্তিক দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছে। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গুণগতমানের শিক্ষা প্রদান করে আসছে যা তাদের একাডেমিক ফলাফলের পরিসংখ্যানে ফুটে উঠবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রয়োজনে রিকোভারি বা বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে পাঠ সম্পন্ন করা হয়। মূলত: বিমান দুর্ঘটনার দিনের হতাহত শিশুরা ছিলেন ক্লাস শেষের খেলাধুলা, গল্প আড্ডারত। কেউ কেউ অপেক্ষা করছিলেন অভিভাবক কখন এসে তাদের নিয়ে যাবে। বাস্তবে জোর করে আটকে রাখার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। এতে বলা হয়, মানববন্ধন চলাকালে মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমের বরাতে একটি চিঠির প্রসঙ্গ আসে; যাতে জোর করে অভিভাবকদের স্বাক্ষর গ্রহণ করার কথা জানানো হয়।
মূলত: সাংবাদিকদের মাধ্যমেই অপতথ্যমূলক এরূপ চিঠি কলেজ অধ্যক্ষের দৃষ্টি গোচর হয়। বাস্তবতা হলো, চিঠিটি মাইলস্টোন সংশ্লিষ্ট নয়। উল্লেখিত চিঠি মাইলস্টোন কলেজের নির্ধারিত প্যাডে বা অধ্যক্ষের কোন স্বাক্ষরও প্রদর্শিত হয়নি তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ এধরনের চিঠির কোন দায় গ্রহণ করবে না।
নানা ধরনের অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দিয়াবাড়ি স্থায়ী ক্যাম্পাসটি নিয়ে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাস্তবতা হলো, বিমান চলাচলের কারণে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস কোনরূপ ঝুঁকির মধ্যে নেই। ইতোমধ্যে বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে তাদের অভিমত জানিয়েছেন। তাছাড়া ক্যাম্পাসের প্রতিটি ভবন যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্মিত।
সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে যে কোন অনৈতিক প্রচারণা বা গুজবে কান না দেওয়া জন্য সকলকে অনুরোধও জানিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।