1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
৭ ডিসেম্বর শালিখার হাজরাহাটির গনকবরে চিরশায়িত ৮ মুক্তিযোদ্ধার শহিদ দিবস - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাত্র ১০ ব্যাংকে জমেছে দেশের ৭১% খেলাপি ঋণ ট্রাম্পের পরিকল্পনা স্থগিত, তবুও ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন পদক্ষেপের সম্ভাবনা ট্রাম্প বললেন ‘হামলা করতেও পারি’, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, কিছু এলাকায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাস ৬,৫৫৮ জন, সামনে ভাইভা মাত্র ১৫ মিনিটেই শেষ, ৪৯৫ রানে থামলো বাংলাদেশের ইনিংস বাবার সালিশের প্রতিশোধে প্রাণ গেল শিশু হোসেইনের খালেদা জিয়া হাসপাতালে, শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল চরবাসীর প্রতিদিন কাটে টিকে থাকার লড়াইয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত স্পষ্ট?

৭ ডিসেম্বর শালিখার হাজরাহাটির গনকবরে চিরশায়িত ৮ মুক্তিযোদ্ধার শহিদ দিবস

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৮৯ জন খবরটি পড়েছেন
হজরাহাটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গনকবর

লক্ষ্মণ চন্দ্র মন্ডল,শালিখা(মাগুরা)থেকে

বাংলাদেশের বিজয়ের মাস এই ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই ডিসেম্বর মাসেই শালিখার তালখড়ি, হাজরাহাটি ও ছয়ঘরিয়ার মাটিতে ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন । এই ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মম নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

তাদের লাশ শেয়াল কুকুরে খাবলানোর পর গনকবরে মাটি চাপা দিয়ে দায় সারা হয়েছিল। এই ২৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শালিখার মাটিতে চিরশায়িত থাকলেও তাদের সেই স্মৃতি ধরে রাখার জন্য স্বাধীনতার ৫০বর্ষ উত্তীর্ন হলেও সুন্দর কোন ব্যাবস্থা না হওয়া বাঙালী জাতির কাছে বড় ব্যথা,বেদনা ও লজ্জাস্কর ছাড়া আর কিছুই না।

সময় ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার। যশোর মাগুরা অঞ্চল পাকসেনা মুক্ত ভেবে নির্বিঘ্নে শালিখা থানার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা। এরা মাতৃভূমির মুক্তি কামনায় ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে নিজভূমে ফরিদপুর অঞ্চলে যাচ্ছিলেন। এমন সময় পাকসেনা দোসর আলবদর রাজাকাররা খবর পেয়ে জুনারী গ্রামের মাঝ খান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। হাজরাহাটি গ্রামের পার্শ্বে চিত্রানদীর তীরে তাদেরকে প্রথমে পিটায়ে হত্যা করে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে রাজাকাররা খোলা আকাশের নিচেই ফেলে যায়।

১ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর গলিত লাশ কতিপয় গ্রামবাসি চিত্রা নদীর ধারে সারি করে শুয়ায়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। পরবর্তীতে কয়েকজন মিলে কবরটি বেষ্টনী দিয়ে রক্ষা করেছিল। স্বাধীনতার দির্ঘ দিন পর জঙ্গল পরিস্কার করে তাদের অমর আত্মার শান্তি কামনা করা হলেও অদ্যাবধি সেখানে কোন সুন্দর দৃষ্টিন্দন স্মৃতিফলক নির্মান করা হয়নি। শুধুমাত্র ইটের বেষ্টনী দিয়ে নদীর দিকে নিচেই দায়সারা গোছের একটা নাম ফলক বসানো রয়েছে যা কাহারো দৃষ্টিতে আসে না।

শালিখার হাজরাহাটির গনকবরে চিরশায়িত সেই ৮ মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন- যদুনাথ গুহ, পঞ্চানন পাল, হরিপদ দাস, নিত্যানন্দ ভদ্র, মনোরঞ্জন দত্ত, নারুগোপাল রায়, সুসেন কর ও একজন অজ্ঞাত।

জায়গাটি বর্তমান জঙ্গলাকীর্ন হয়ে পড়ে আছে। দেশে আজ স্বাধীনতার ৫০ বর্ষ পূর্তি উৎসব পালিত হচ্ছে। যাদের আত্মত্যাগে এ স্বাধীনতা অথচ তাদের আত্মদান জাতীর কাছে অবমুল্যায়িত এ লজ্জা ঢাকার জায়গা কই? অচিরেই অবহেলিত গনকবরগুলো দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ করে সেখানে সবার দৃষ্টিতে আসে এমন নামফলক স্থাপিত হোক এটা সচেতনমহলের একান্ত প্রাণের দাবী।

শালিখার হাজরাহাটি গ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন বলেন আমরা কলেজের পক্ষে এবং আওয়ামী লীগ দলের নেতৃত্তে হাজরাহাটির গনকবরে এবছর ৭ ডিসেম্বর শহীদ দিবস পালন করবো।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews