বাঘারপাড়া প্রতিনিধি।।
বাঘারপাড়ায় ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত দুই জন । এঘটনায় ২ জন কে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্তরে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম (১৬) উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে ও আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র এবং রায়হান (১৬) ধলগ্রামের রাকিবুল ইসলাম নান্নুর ছেলে ও দশপাখিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র।
কৌশিক নামে এক ছাত্র জানায়, বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের করোনার টিকাদান চলছিল। এসময় ধলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ইজাজুল, রায়হান, নাহিদসহ কয়েকজন আরিফুলকে পিছনে ডেকে নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে পিঠে ছুরিকাঘাত করে। পরে সহপাঠীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এর কিছু সময় পর রায়হানকে ছুরিকাঘাত করে বিরোধী পক্ষ।
আহত রায়হান জানায়, হৃদয় নামে এক ছাত্রসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান,করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে আসেন, এসে এলোমেলো চলার ফাঁকে উপজেলা ৫নং ধলগ্রাম ইনিয়নের ধলগ্রামের জনৈক মেয়ে শিক্ষার্থী কে ইফটিজিং করেন। এঘটনার প্রতিবাদ জানান একই এলাকার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের আজিজুর সরদারের স্কুল পড়ুয়া ছেলে আরিফুল ইসলাম(১৬)। এসময় তাদের মধ্যে দুইটি গ্রুপ হয়ে যায় এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে গেলে ধলগ্রামের সেলিম মোল্যার ছেলে ইজাজুল ইসলাম আরিফুলের পেছন দিক থেকে পিঠে বার্মিজ ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ছুরিকাহত হয়ে আরিফুল মাটিতে লুটে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আরিফলের বন্ধু একই এলাকার জসিম মোল্যার ছেলে তামিম (১৮) ইজাজুল ইসলামের বন্ধু ধলগ্রামের নান্নু মোল্যার ছেলে আবু রায়হানের (১৬) মাথায় লাঠি দিয়ে বাড়ি মারলে মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে থানা পুলিশ গিয়ে দুই গ্রুপের প্রধান দুইজন কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আহত আরিফুল ইসলাম ও আবু রায়হানকে প্রথমে বাঘারপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের অবস্থার অবন্নতি হলে তাদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমাইয়া রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আহত আজিজুল ও রায়হানের অবস্থা গুরুতর। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এরমধ্যে আজিজুলের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় ফুসফুসের স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। আর রায়হানের মাথার বামপাশে ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া যায়। তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আরিফুলের অবস্থার আরো অবন্নতি হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বাঘারপাড়া থানা ওসি ফিরোজ উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন দুই গ্রুপের মুল দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো মামলা হয়নি।