1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
তোর বাপও তোকে বাঁচাতে পারবে না - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

তোর বাপও তোকে বাঁচাতে পারবে না

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৯০ জন খবরটি পড়েছেন

খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য পদত্যাগকারী ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেনের একটি বক্তৃতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

তাকে নির্বাচনী একটি সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায় ‘কেউ পার পাবে না। আজকে বলে আসছি-ঐ সালাম- কালাম দুইজনকেই। সময় দিয়ে গেলাম তিনদিন। তোর নারান বাবু কেনো? তোর বাপও তোকে বাঁচাতে পারবে না। তুই আমার কোনো নেতাকর্মীর গায় হাত দিস, তুই আমাকে চিনিস না, আজকে যেহেতু নির্বাচন করতে আইছি, করছি, সকলে মিলেই করছি, জনগণ যাকে চায়- সেই নির্বাচিত হবে। বাধা সৃষ্টি করে, ভয় দিয়ে, আরে কারে ভয় দিচ্ছিস- দুটো গুলি ফুটলি তো তুই পলাবি।

এই বক্তৃতা চলাকালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের হাততালি দিতে দেখা যায়। এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকে খুলনা-৫ আসনের মানুষের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের মিকশিমিল বালিকা বিদ্যা লয় মাঠে একটি নির্বাচনী সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন বক্তৃতা করছিলেন। বক্তৃতার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানের দুই চাচা গাজী সালাম ও গাজী কালামকে উদ্দেশ্য করে ঐ বক্তব্য দেন।

গাজী সালাম ও গাজী কালাম ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুল হাদীর ভাই। তারা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্রের নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আকরাম হোসেন।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেন আমাকে ও আমার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানকে শাসাতেই আমাদের চাচাদের নাম ধরে হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনার পর আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শেখ আকরাম হোসেনের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) ভাইরাল হওয়ার পর বেশ কয়েকজন দর্শক মন্তব্য করেছেন। এদের মধ্যে মহেন্দ্রনাথ সেন নামে একজন লিখেছেন, এটা কি রাজনৈতিক ভাষা?

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। ঋণ খেলাপির অভিযোগে খুলনা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে তিনি আপিল করেন। সেখানেও তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ২১ ডিসেম্বর সকালে বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে দীর্ঘশুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বাতিল করলেও চেম্বার জজ আদালতে তিনি তার প্রার্থিতা ফিরে পান। খুলনা-৫ আসনে বর্তমানে চারজন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে লড়াই করছেন। শেখ আকরাম হোসেনের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় খুলনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের প্রতিদ্বন্দিতা হবে। এই নির্বাচনে ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন শেখ আকরাম হোসেন। স্বা,আ,

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews