ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার উত্তেজনার জেরে চলমান আইপিএল ও পিএসএল স্থগিত করা হয়েছে। আইপিএলের ১৮তম আসর আপাতত এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলেও টুর্নামেন্ট দ্রুত পুনরায় শুরুর সম্ভাবনা ক্ষীণ। পরিস্থিতির অবনতিতে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে আয়োজকরা।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের সাবেক চেয়ারম্যান সৌরভ গাঙ্গুলী মনে করছেন, বিসিসিআই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, “যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যখন দেশজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে, তখন এই সিদ্ধান্তই যৌক্তিক।” তবে তাঁর বিশ্বাস, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আইপিএল আবারও শুরু হবে।
সৌরভ আরও বলেন, “এই সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের নিতেই হতো, বিশেষ করে যেহেতু অনেক ম্যাচ ধর্মশালা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান ও জয়পুরে হওয়ার কথা ছিল। আমার বিশ্বাস, বাকি ম্যাচগুলো হবেই, এবং পাকিস্তান খুব বেশি দিন যুদ্ধের চাপ নিতে পারবে না।”
এদিকে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বিসিসিআইকে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড বিসিসিআই সচিবের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। সেপ্টেম্বর মাসে ইংল্যান্ডের মাটিতে ম্যাচগুলো আয়োজন সম্ভব বলে জানিয়েছে ইসিবি।
পাশাপাশি, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-ও গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পিএসএলের এবারের আসরে বাকি রয়েছে আরও ৮টি ম্যাচ।
এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কূটনৈতিক ও ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব বিস্তৃত হতে পারে আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতেও।