ডেস্ক রিপোর্টঃ বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২১ জুলাই) রাত ২টা থেকে শুরু করে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম মঙ্গলবার ভোরে বলেন, ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছে। তাদের সঙ্গে কিছু শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। তাদের দাবি সম্বন্ধে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে তারা এখনো সেখানে আছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে জানানো হবে।’
প্রতক্ষ্যদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা জানতে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছেন। মধ্যরাতে উদ্ধার অভিযান চলাকালে তারা দেখেছেন, স্কুল প্রাঙ্গণেই এখনো উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। তবে কী ধরনের কার্যক্রম চলছে বা ঠিক কী অবস্থায় উদ্ধার কাজ পরিচালিত হচ্ছে, তা তারা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন না।
তারা অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হলেও শিক্ষার্থী, অভিভাবক কিংবা শিক্ষকদের কেউই ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে পারছেন না। এমন অনির্দিষ্টতা, আতঙ্ক ও তথ্যের স্বচ্ছতার অভাব থেকেই তারা বিক্ষোভে বসেছেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি হলো বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো প্লেনগুলো অবিলম্বে বাতিল করে আধুনিক ও নিরাপদ প্রশিক্ষণ বিমান চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি তারা দাবি জানান, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো যেন আরও মানবিক ও নিরাপদভাবে রূপান্তর করা হয়।
তারা আরও বলেন, এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা নিহত ও আহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং বিষয়টি নিয়ে কোনো গোপনীয়তা রাখা যাবে না। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি গভীর রাত পর্যন্ত চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি।