ডেস্ক রিপোর্ট: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২১ জুলাই) নোয়াখালী জেলা দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান এর নেতৃত্বে উপসহকারী পরিচালক মো. জাহেদ আলম এবং কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সংগ্রহ করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক পদে ড. মো. শফিউল্লাহ নামে একজনকে নিয়োগ দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রণীত নিয়োগ নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য এসেছেন। ২০২৫ সালের ২৯ জুন অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ড. শফিউল্লাহ ১৯৯৮ সালে দাখিল, ২০০১ সালে আলিম পাশ করেন। ২০০৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে এলএল.বি (অনার্স) (সিজিপিএ ৩.২৮) এবং ২০০৯ সালে এলএল.এম (সিজিপিএ ৩.৫৮) ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে আইনে এম.এস.এস (সিজিপিএ ৩.৫৮) ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০২০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ১৪ বছর ৫ মাস ১৫ দিনের শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা সহ সিনিয়র লেকচারার এবং পরবর্তীতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিউল্লাহ’র নিয়োগের বিষয়ে আনীত অভিযোগে রয়েছে সিনিয়র লেকচারারকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে গণ্য করে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়া । এছাড়াও ড. শফিউল্লাহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ ও নোবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সোলাইমানের ছোট ভাই হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, “নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রাথমিকভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে, প্রয়োজনে পরবর্তীতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। আমরা একাডেমিক এক্সিলেন্সসহ অন্যান্য ক্রাইটেরিয়ার যাচাই করে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত মেনেই এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।