দৌলতপুর(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত অভিভাবক রজনী খাতুনের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল উপজেলার সাদিপুর গ্রামে রজনীর বাড়িতে যায়। যশোর বিমান ঘাঁটির উইং কমান্ডার কামরুল হাসান বারীর নেতৃত্বে দলটির সদস্যরা রজনীর কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এবং নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলের সদস্য, নিহতের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিত থেকে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
নিহত রজনী খাতুন সাদিপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ও তার পিতার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামে।
রজনী খাতুন রাজধানীর উত্তরায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তিনি দুর্ঘটনার দিন মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঝুমঝুম দুর্ঘটনার সময় স্কুলের ক্যানটিনে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। রজনীর ছোট ছেলে রোহান একই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে এবং সেদিন অসুস্থ থাকায় সে স্কুলে যায়নি। বড় ছেলে রুবাই এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ দিচ্ছে।
বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিদলের শ্রদ্ধা নিবেদন প্রসঙ্গে রজনীর স্বামী জহুরুল জানায়, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আল্লাহতায়ালা যেন আমার স্ত্রীকে জান্নাতবাসি করেন সকলের কাছে সেই দোয়া কামনা করছি।
বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিদলের শ্রদ্ধা জানানোর সময় দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী, দৌলতপুর থানার ওসি সোলাইমান শেখ উপস্থিত ছিলেন।