স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর) ।।
অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগে অবস্থিত সরকারি জলাশয় বাওড়টি কোনভাবেই অবৈধ দখলমুক্ত করা যাচ্ছিলনা। নানাবিধ জটিলতা ও প্রভাবশালী মহলের প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত হয়ে আসছিল। এসব কারণে অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষে শুক্রবার দিনব্যাপী অভিযান চালায় অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন।
ভূমি কালেকশন হিসেবে প্রায় ১শ’ ১০একর বিশিষ্ট এই প্রেমবাগ বাওড়ের অবৈধ দখলকৃত জলাশয় থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজার ৬শ’ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. তানজিলা আখতার। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম, প্রেমবাগ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন, চাঁপাতলা পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ মোস্তফা উদ্দিন।
প্রেমবাগ বাওড় এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রেমবাগ গ্রামের সৈয়দ বিল্লাল হোসেন, সৈয়দ সামছুল আলম বাবলা, সৈয়দ শাহাবুদ্দিন হোসেন, সৈয়দ কামরুল আলম, শেখ তবিবর রহমান, আজাদ মিনা, মো. মহসীন, আবদুল মান্নান ও রানা গং বাওড়ের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ এবং বসুন্দিয়ার সদুল্যাপুর গ্রামের তুহিন খান বাওড়ের কিছু অংশ দীর্ঘদিন দখল করে সেখানে মাছ চাষ করে আসছিলেন। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বাওড়টি দখলমুক্ত করার লক্ষে উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে মৌখিকভাবে বারবার তাগাদা দিলেও তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার প্রতি কোন প্রকার কর্ণপাত করেননি। অবশেষে সরকারি নিয়ামানুযায়ী আকস্মিকভাবে ভূমি কালেকশনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. তানজিলা আখতার জানান, যশোর জেলা প্রশাসনের আদেশ মোতাবেক খাস কালেকশনে গিয়ে অবৈধ দখলে থাকা সরকারি বাওড়ের মাছ জব্দের পর তা বাজারে নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। যার মূল্য মিলেছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। মাছ বিক্রির এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দীন জানান, প্রেমবাগ বাওড়টি ইজারা দেয়ার জন্য খোলা টেন্ডার আহবান করা হয় কিন্তু কেউ টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেননি বা ইজারা গ্রহণ করেননি। যার কারণে এটিকে আবারও টেন্ডারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টেন্ডার আহবান করার আগে সরকারি সম্পত্তির সম্পদ কালেকশন করা হয়েছে এবং এখানে খাস কালেকশনে যে পরিমাণ মাছ পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ম মাফিক বাজারে বিক্রি করে সে অর্থ আগামীকাল রোববার সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে।