1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
আসেন না প্রধান শিক্ষক,স্কুল চালাচ্ছেন ৩ প্যারা শিক্ষক - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ময়মনসিংহে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে ৬ জন নিহত, বাসে আগুন ইরানের ‘ফাত্তাহ’ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ভেদ করার দাবি বাঘারপাড়ার চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা আটক হাসপাতালের ওয়াশরুমে সন্তান প্রসব, পরক্ষণেই হত্যার চেষ্টা সুশাসনের লক্ষ্যে নতুন রাজনৈতিক শক্তি রিপাবলিকান পার্টির আত্মপ্রকাশ অভয়নগরে নিখোঁজ মেয়েকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি প্রায় প্রতিদিনই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয় : নেতানিয়াহু দুর্লভ রাজা ইলিশ পেলেন ভোলার জেলে, বিক্রি সাড়ে ছয় হাজারে গ্রামীণ ব্যাংকে আইটি স্পেশালিস্ট নিয়োগ, আবেদন চলছে অনলাইনে ট্রাক্টর চাঁপায় কুড়িগ্রামে নিহত দুই আপন বোন

আসেন না প্রধান শিক্ষক,স্কুল চালাচ্ছেন ৩ প্যারা শিক্ষক

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩০৮ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-বিডিটেলিগ্রাফ

খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

অনাথ মন্ডল, শ্যামনগর।

ভেঙে পড়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার ১২২নং খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষক সংকটসহ প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের চরম উদাসীনতা বিদ্যালয়টির বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে রোবাবর (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে গাবুরা খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বারান্দায় ছাত্র ছাত্রীরা ছোটাছুটি করছে। তিনটি শ্রেণী কক্ষে পাঠদান করছেন দুই জন প্যারা শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষক।

হাজিরা খাতা অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণীতে ৬০ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও ১৪ জন উপস্থিত, চতুর্থ শ্রেণীতে ৬৮ জনের স্থলে ১৯ জন এবং তৃতীয় শ্রেণীতে ৮০ জনের স্থলে ২৭ জন উপস্থিত রয়েছে।

অফিস কক্ষে যেয়ে দেখা যায়, টেবিল চেয়ারে ধুলার আস্তরণ পড়েছে, মাকড়সা জাল বুনেছে। দেখলে মনে হবে মাসের পর মাস বন্ধ থাকে অফিস কক্ষটি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক শ্যামনগরে থাকেন। মাসে এক-দুইদিন স্কুলে আসেন। বাকি সময় অফিসে কাজ আছে বলে আসেন না। তিনি টানা ১৮ বছর বিদ্যালয়টিতে কর্মরত আছেন।

বিদ্যালয়টিতে খাতা কলমে চারজন শিক্ষক থাকলেও সহকারী শিক্ষক মিরা বালা প্রশিক্ষণে রয়েছেন। ফরহাদ হোসেন সাময়িক বরখাস্ত হয়ে আছেন। প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন থাকেন শ্যামনগরে। আর অপর সহকারী শিক্ষক বুদ্ধদেব জোয়ার্দার বিদ্যালয়ে আসেন অনিয়মিত।

মূলত স্থানীয় বাবু খান, শাহাদাত হোসেন ও কুমকুম আক্তার নামে তিন কলেজ শিক্ষার্থীকে প্যারা শিক্ষক বানিয়ে ৪৩৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান চলছে বিদ্যালয়টিতে।

বিদ্যালয়ে গেলে সহকারী শিক্ষক বুদ্ধদেব জোয়ার্দার প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যথাসময়ে উপস্থিত থাকেন বলে দাবি করলেও হাজিরা খাতা দেখাতে বললে সাদাসিধা ভাষায় জানান, হাজিরা খাতা আলমারিতে। আর চাবি হেড স্যারের কাছে, স্যার যখন আসে তখন স্বাক্ষর করি।

এসময় প্রধান শিক্ষক শেষ কবে বিদ্যালয়ে এসেছেন প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সভাপতি হাফেজ মাহমুদুল হাসান জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় জমিদান থেকে শুরু করে ম্যানেজিং কমিটিতে থেকে কাজ করেছি। বিগত কয়েকবছর যাবৎ বিদ্যালয়ের কার্যক্রমে হতাশ হচ্ছি। বিদ্যালয়ে বর্তমানে কোন ম্যানেজিং কমিটি নেই, শিক্ষকও নেই।

বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখার সময় শিক্ষার্থীদের সাথে গল্পের ছলে আড্ডা দেওয়ার সময় দেখা যায়, সর্বোচ্চ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরাও দেখে বাংলা পড়তে পারে না, এমনকি নিজেদের নাম পর্যন্ত লিখতে পারে না।

এসময় শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে, হেড স্যার শ্যামনগরে থাকেন। ফাঁকে ফাঁকে আসেন, আবার চলে যান।

অভিভাবক আবুল কালাম ও মরিয়ম বেগম জানান, স্কুলে বর্তমানে ম্যানেজিং কমিটি নেই। শিক্ষক সংকট রয়েছে। অভিভাবকদের সাথে শিক্ষকদের কোন সম্পর্ক নেই। হেড স্যার আসেন না। থাকেন শ্যামনগরে। তিন জন প্যারা শিক্ষক দিয়ে নিজের কাজ সারেন।
গাবুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার খান হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, এই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে দেলোয়ার হোসেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার খামখেয়ালীপনায় বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এখনো ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে কয়েকবার বসাবসী হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয়নি। তিনি নিজে স্কুল করের না। আর বিদ্যালয়ে শিক্ষক রাখার বদলে নিজের স্বার্থের জন্য শিক্ষকদের বদলিতে সুপারিশ করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে (০১৯১৩৪০১৭৮২) একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিজ মিঞা জানান, প্রধান শিক্ষক নিজে স্কুল না করে বেতনের টাকায় তিনজন প্যারা শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালানোর বিষয়ে সত্যতা পেলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্যারা শিক্ষকদের টাকা দিয়ে রাখা যাবে, তবে এলাকাবাসী বা ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টি দেখবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews