মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ বাগেরহাট প্রতিনিধি।
দস্যুমুক্ত করতে র্যাবের লং রেঞ্জ পেট্রোল দল এখন শরনখোলার সুন্দরবনে অভিযান চালাচ্ছে। বিশেষ আভিযানিক দলটি রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে “এলিট টাইগার্স” ট্রলারযোগে শরনখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন লোকালয়ে এসে পৌছায়।
আভিযানিক দলটি উপস্থিত দরিদ্র জেলেদের মধ্যে কম্বল বিতরণ এবং তাদের নিরাপত্তার আশ্বস্থতা প্রদান করে। এসময় র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোসতাক আহম্মেদ, কোম্পানী কমান্ডার এসপি মোঃ বদরুদ্দোজা, স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম রহমান ও আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
র্যাবের অধিনায়ক সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বের প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষনা করেন।
ওই সময় দস্যুদের ৩২৬টি পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে পুনঃর্বাসন করা হয়। এরপর দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে র্যাব কঠোরভাবে তা দমন করেছে। সম্প্রতি নব্য দস্যুদলটি মাছ ধরা মৌসুমে দস্যুতা শুরু করলে তাদের নিচিহৃ করতে র্যাব ও দ্রুত কার্যক্রম শুরু করেছে। সুন্দরবন পুরোপুরি দস্যুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত র্যাবের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এব্যাপরে জেলেদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অভিযানে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল, ছদ্দবেশী একটি দল এবং লং রেঞ্জ পেট্রোল দল পৃথকভাবে কাজ করছে। অচিরেই তাদের সফলতা আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে র্যাবের অভিযানে টিকতে না পেরে পালিয়ে যাওয়ার সময় বনদস্যু মাসুম ফরাজী (৪৫) পাথরঘাটা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন চরদুয়ানী এলাকায় আটক হয়েছে বলে জেলেরা জানায়। মাসুম ফরাজী শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের মকবুল ফরাজীর পুত্র। সে সাবেক বনদস্যু বাদল বাহীনির সদস্য ছিল।
প্রসঙ্গত গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে নয়ন বাহীনি নামের একটি নব্য বনদস্যুদল সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বেড়ীর খাল ও হরমাল খাল এলাকা থেকে ১৫ জেলেকে মুক্তিপনের দাবীতে অপহরন করে। অপহরনের ৬ দিন পর মুক্তিপন দিয়েদস্যুদের কবল থেকে অপহৃত জেলেরা ছাড়া পায়। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি তৎপড় হয়।