অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি।
বেনাপোলগামী ট্রেন পরিচালকের লাথিতে নাক ফেটেছে স্কাউটে অংশ নিতে যাওয়া এক স্কুল শিক্ষিকা স্কাউট ইউনিট লিডারের। তাছাড়া পরিচালকের লাঠির আঘাতে ইরিন জাহান লিজা নামের এক স্কুল ছাত্রীও আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল ৭টা ২০মিনিটে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে। এ দৃশ্য দেখে ট্রেন যাত্রীরা হতভম্ব ও আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
জানাগেছে, ঝিকরগাছায় অনুষ্ঠেয় স্কাউটের পুষ্প ক্যাম্পে অংশ নিতে যাওয়া এক স্কুল শিক্ষিকা তার স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বেনাপোলগামী ট্রেনে যেতে চান। বেনাপোলগামী ট্রেনে যাত্রীদের প্রচন্ড ভীড় থাকে। প্রচন্ড ভীড়ে ট্রেনে উঠতে না পেরে ওই স্কুল শিক্ষিকা শিক্ষার্থী দুইজনকে নিয়ে ট্রেনের মাঝ বরাবর থাকা ট্রেন পরিচালকের (গার্ড) রুমের সামনে গিয়ে তাদের উঠাতে অনুরোধ করেন।
স্কুল শিক্ষিকা কঁাদতে কঁাদতে মোবাইল ফোনে জানান, ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে বারবার অনুরোধের এক পর্যায়ে ট্রেনের পরিচালক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুল শিক্ষিকার মুখে লাথি মারেন এবং লাঠি দিয়ে এক ছাত্রীকে বেধড়ক পেটান। ট্রেন পরিচালকের লাথিতে শিক্ষিকার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। তাছাড়া লাঠির আঘাতে স্কুল ছাত্রী ইরিন জামান লিজাও আহত হন। ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা কোন কূল কিনারা না পেয়ে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার অনুপ কুমার মন্ডল ও ৯৯৯-এ বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানান।
এ রিপোর্ট লেখার সময় মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা জানান, ট্রেন পরিচালকের নাম আল মামুন।
বিষয়টি সম্পর্কে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার অনুপ কুমার মন্ডল দু:খ প্রকাশ করে অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ট্রেনের পিছনের দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের সময় ওই নারীর নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল বলে তিনি জানান।
পরিচালকের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকা গার্ড খুলনার নয়, তিনি রাজবাড়ীর গার্ড। নাম যতদূর জেনেছি, আবদুল্লাহ আল মামুন। আগামীকাল স্টেশনের বড় মাস্টার আসলে বিষয়টির সুরাহা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।