অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ লাথি মেরে শিক্ষিকার নাক ফাটানো সেই ট্রেন পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. মাসুদ রানা। তিনি জানান, রেলওয়ে পাকশি কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগী শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়ে ট্রেনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাছাড়া তাকে ট্রেনের সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
শিক্ষিকার অভিযোগ আমলে নিয়ে অচিরেই বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে নওয়াপাড়া রেলস্টেশনে বেনাপোলগামী ট্রেন পরিচালকের লাথিতে নাক ফেটে আহত হন স্কাউটে অংশ নিতে যাওয়া এক স্কুল শিক্ষিকা। তাছাড়া ওই পরিচালকের লাঠির আঘাতে ইরিন জাহান লিজা নামের এক স্কুল ছাত্রীও আহত হন। এ দৃশ্য দেখে ট্রেন যাত্রীরা হতভম্ব ও আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
জানা যায়, ঝিকরগাছায় অনুষ্ঠেয় স্কাউটের পুষ্প ক্যাম্পে অংশ নিতে যাওয়া এক স্কুল শিক্ষিকা তার স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বেনাপোলগামী ট্রেনে যেতে চান। বেনাপোলগামী ট্রেনে যাত্রীদের প্রচন্ড ভীড় থাকে। প্রচন্ড ভীড়ে ট্রেনে উঠতে না পেরে ওই স্কুল শিক্ষিকা শিক্ষার্থী দুইজনকে নিয়ে ট্রেনের মাঝ বরাবর থাকা ট্রেন পরিচালকের (গার্ড) রুমের সামনে গিয়ে তাদের উঠাতে অনুরোধ করেন। ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে বারবার অনুরোধের এক পর্যায়ে ট্রেনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুল শিক্ষিকার মুখে লাথি মারেন এবং লাঠি দিয়ে এক ছাত্রীকে বেধড়ক পেটান। ট্রেন পরিচালকের লাথিতে শিক্ষিকার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। তাছাড়া লাঠির আঘাতে স্কুল ছাত্রী ইরিন জামান লিজাও আহত হন।
ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা কোন কূল কিনারা না পেয়ে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার ও জরুরী সেবা ৯৯৯-এ বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানান।
বিষয়টি সম্পর্কে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. মাসুদ রানা জানান, ঘটনার দিনে তিনি স্টেশনে ছিলেন না। আজ শনিবার তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে ফোন করে দু:খ প্রকাশ করেছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অচিরেই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।