মাগুরার শ্রীপুরে বিয়ের দাবিতে ৩ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী। তবে প্রেমিক তোফাজ্জেল হোসেন (৪০) ওই নারীকে বিয়ে না করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের জোবান বিশ্বাসের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন (৪০) ওরফে শহর আলীর সঙ্গে যশোর কতোয়ালী থানার ওসমান্ গণির কন্যা কাপড় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তার মহুয়ার (৩০) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু প্রেমিক তোফাজ্জেল প্রেমিকা ফাতেমা আক্তার মহুয়াকে বিয়ের কথা বলে সময় নষ্ট করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রেমিকা মহুয়া যশোর কতোয়ালী এলাকার স্বামীর বাড়ী থেকে পালিয়ে শ্রীপুরের কমলাপুর গ্রামের প্রেমিক তোফাজ্জেলের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন।
এদিকে প্রেমিক তোফাজ্জেল প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এভাবে তিন দিন ধরেই ওই নারী প্রেমিকর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী ফাতেমা আক্তার মহুয়া অভিযোগ করে বলেন, তোফাজ্জেল যশোরে একটি ওষুধ কোম্পানীতে চাকরী করতেন। চাকুরীর সূত্র ধরেই তার সঙ্গে পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে তোফাজ্জেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। বিয়ের কথা বলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে একত্রে তারা বসবাসও করেছেন। কিন্তু বৈধভাবে বিয়ের কথা বললেই তোফাজ্জেল তাকে বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কোনও উপায় না পেয়ে প্রেমিক তোফাজ্জেলের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে এ বাড়িতে তিন দিন ধরে অবস্থানকালে তোফাজ্জেলের দেখা না মিললেও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন খান তোফাজ্জেলের প্রতিনিধি হয়ে ভূক্তভোগী নারীকে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এছাড়াও এ ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার কথা বলে আগের স্বামীকে ডিভোর্সও দিতে বলেন।
কিন্তু তিন দিন পার হলেও তার বিয়ের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেননি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাদিরপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাসেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে চেয়ারম্যান সাহেব জানেন। তবে ঘটনাটি মীমাংসা করতে চেয়ারম্যান গতকাল রোববার পর্যন্ত সময় নিয়ে বিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। যে কারণে ওই নারী বিয়ের দাবিতে ওই ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এ ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে শহর আলী বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।একাধিকবার তার ফোনে কল দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি তবে আমি টাকার বিনিময়ে কাউকে যেতে বলিনি। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ওই মহিলা মিথ্যা ও অসত্য কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাব্বারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।চ্যানেল ২৪