অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি।
অভয়নগর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের আঘাত ও দায়ের কোপে দুই ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, ইঞ্জিনিয়ার মিলন মল্লিক ওরফে খসরুজ্জামান (৩২) ও তার বড় ভাই শরফুজ্জামান সোহাগ (৪২)।
আহত দুই ভাইকে প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ইঞ্জিনিয়ার মিলন মল্লিকের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আহত দুই ভাইয়ের মা নাজমা আরা বেগম তাদের পুকুর থেকে মাছ ধরা এবং মাটি কাটতে নিষেধ করায় প্রতিবেশি নিজাম উদ্দিন মোল্যা, তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম, নাজিম উদ্দিন মোল্যা ও তার স্ত্রী পারভীন বেগম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারতে উদ্যত হয়। এ খবর জানতে পেরে ওই দিন দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার মিলন মল্লিক ও তার বড় ভাই শরফুজ্জামান সোহাগ বিষয়টি শুনতে গেলে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ওই চারজন লাঠিশোঠা ও শাবল দিয়ে দুই ভাইকে বেদম মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মিলন মল্লিককে গুরুতর জখম করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসীরা তাদের উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত দুই ভাইয়ের মধ্যে মিলন মল্লিকের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, মিলন মল্লিকের মাথায় ২২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে গুরুতর আহত শরফুজ্জামান সোহাগ জানান,জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তারা আমাদেরকে পিটিয়ে ওকুপিয়ে জখম করেছে। শরফুজ্জামান সোহাগ বাদি হয়ে চারজনকে আসামি করে অভয়নগর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
পুলিশ এ ঘটনায় আসামিদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. গোলাম হোসেন জানান, ধারণা করা যাচ্ছে মামলা রুজুর পর গ্রাম ছেড়ে আসামিরা পালিয়ে গেছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।