বিডিটেলিগ্রাফ নিউজ ডেস্ক।
দ্বিতীয় স্ত্রীর ছুরিকাঘাতে লাভলু দাস (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় দায়ী স্ত্রী স্মৃতি দাসকে আটক করেছে। মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামের তপন দাসের ছেলে লাভলু দাস পৌরসভার সাজিয়াড়ার ঢালে সেলুনের দোকানে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, লাভলু দাস প্রথমে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার সাচিলাপুর গ্রামের লক্ষ্মী দাসকে বিয়ে করেন। সেখানে তার দুটি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন আগে প্রথম স্ত্রীর অগোচরে সে নিজের খালাতো বোন স্মৃতি দাসকে বিয়ে করে মাগুরা শহরের সাহাপাড়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। কিন্তু এই বিয়েতে পারিবারের সম্মতি না থাকায় উভয়ের মধ্যে মনোমালিণ্যের সৃষ্টি হয়। প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে ছিলো। পারিবারিক কলহের জেরে
রবিবার (২৩ জুলাই) ভোরে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা উভয়ের উপর আক্রমন চালায়। এ সময় স্ত্রী স্মৃতি দাস ফলকাটা চাকু দিয়ে লাভলু দাসের বুকে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হন। এরপর প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার জানান, তারা উভয়ের উপর হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। ঘটনার পর লাভলু দাস মারা গেলেও স্মৃতি দাসও কমবেশি আহত হয়েছে। মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত স্মৃতি দাসকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে।