1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে রেকর্ড গড়েছেন কুড়িগ্রামের মোহাম্মদ শাওন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাগুরায় শিশু ধর্ষনে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিলো ক্ষুব্ধ জনতা কালীগঞ্জে পরিষদে ৩ যুবককে পেটানো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বাঘারপাড়ায় বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বিচার শুরুর আগেই না ফেরার দেশে মাগুরায় ধর্ষিতা সেই শিশুটি চট্টগ্রামে বাস চাপায় অটোরিকশার ভাই-বোনসহ তিনজন নিহত মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টার গভীর প্রকাশ মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি আর নেই আড়াইহাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের ১৪ হাজার কোটি টাকার লেনদেন, দুদকের মামলা স্পর্শিয়ার প্রেমে পড়েছেন এক সাথে দুই ভাই !

জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে রেকর্ড গড়েছেন কুড়িগ্রামের মোহাম্মদ শাওন

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪
  • ৮৩ জন খবরটি পড়েছেন

এ,আর,রাকিবুল হাসান, কুড়িগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ শুরু হয়েছে ৩৮তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন এর তত্ত্বাবধানে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

এ যেন স্বপ্নের মতো এক দিন তাঁর জন্য। যে দিনটি মোহাম্মদ শাওনকে ভাসিয়েছে আনন্দে। এনেছে প্রচারের আলোয়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ শুরু হওয়া তিন দিনের শেখ কামাল ৩৮তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকসের প্রথম দিনের উজ্জ্বল মুখ কুড়িগ্রামের তরুণ। অনূর্ধ্ব-১৮ বালক বিভাগে ১৫শ মিটার দৌড়ে রেকর্ড গড়েছেন শাওন।

সময় নিয়েছেন ৪ মিনিট ১৪.১২ সেকেন্ড (ইলেকট্রনিক বোর্ড)। এর আগে এই ইভেন্টে ২০১৮ সালে রেকর্ড ছিল নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিজয় মল্লিকের। সময় নিয়েছিলেন ৪ মিনিট ১৯.২০ সেকেন্ড (ইলেকট্রনিক বোর্ড)।

গত বছর ঢাকায় শেখ কামাল স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকসের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছেন। দ্বিতীয়বার ঢাকায় এসেই বাজিমাত। নিজেই অবাক জাতীয় স্তরে এসে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে। তবে এখানেই না থেমে শাওন এগিয়ে যেতে চান অনেক দূর। যদিও জানেন এগিয়ে চলার পথটা মসৃণ নয়। এরই মধ্যে তাঁকে মুখোমুখি হতে হয়েছে জীবনের নানা বাস্তবতার।

চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় শাওন। মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ছেন। কিন্তু পড়ার চেয়ে খেলায় আগ্রহ বেশি। তাই তো কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে ছুটে যাওয়া, দৌড় অনুশীল করা। স্প্রিন্টে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ভালো কিছু না হওয়ায় কোচের পরামর্শে দূরপাল্লার দৌড়ে আসা। আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে নিজেকে মেলে ধরা শাওন নিজের পরিশ্রমকে কিছুটা সার্থক মনে করছেন।

পরিবারের নির্দিষ্ট আয় বলতে কিছু নেই। নেই নিজেদের কোনো জমিজমা। বাবা মোফাচ্ছেল হক অন্যের জমিতে কাজ করেন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে। বাবাকে কৃষিকাজে সহায়তা করে ছেলে শাওনও। শুধু তা–ই নয়, নিজেই এরপর দিলেন চমকে যাওয়া তথ্য, ‘কিছুদিন আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করেছি টাকার জন্য। দৈনিক পেতাম সাড়ে তিন শ টাকা। কষ্ট করেই আসলে চলতে হয়।’

দুঃখ করে জানালেন, দূরপাল্লার দৌড়ে ভালো করতে যেমন ভালো খাবার প্রয়োজন, সেটি তিনি পান না। এই জায়গায় বড় একটা ঘাটতি তাঁর রয়ে গেছে। ‘আর্থিকভাবে সচ্ছল হলে অনেক দূর যেতে পারতাম। তবু চেষ্টা করছি যতটুকু ভালো করা যায়’—বলতে বলতে মোহাম্মদ শাওনের চোখমুখে ফুটে ওঠে আত্মবিশ্বাস।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews