ডেস্ক নিউজ।
পহেলা বৈশাখের অন্যতম উদযাপন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম শেখ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। আয়োজকসংশ্লিষ্টরা নাম বদল না বলে, এটাকে ‘পুনরুদ্ধার’ বলে মনে করছেন।
শোভাযাত্রায় দেশের ২৮টি জনগোষ্ঠীর লোকজন অংশ নেবেন। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের বার্তা থাকবে শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে।
শোভাযাত্রার বড় মোটিফের মধ্যে থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’, কাঠের বাঘ, ইলিশ, ৩৬ জুলাই, শান্তির পায়রা, পালকি, জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল। এছাড়া, ফিলিস্তিনি গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতীক হিসেবে তরমুজের মোটিফও থাকবে।
শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি, শহিদ মিনার, দোয়েল চত্বর হয়ে চারুকলা অনুষদে শেষ হবে।
চৈত্র সংক্রান্তিতে চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিকেল পাঁচটার পর প্রবেশ করা যাবে না।
অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, আগে পয়লা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রাটি হতো, তার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। পরে সেটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ করা হয়েছিল। আমরা আবার ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’য় ফিরে গেলাম। এটাকে পুনরুদ্ধার বলা যেতে পারে।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে দুটো বার্তা আছে। একটি হচ্ছে, একটি নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান। রাজনৈতিক ও সামাজিক নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, সেই বিষয়টি তুলে ধরা। আর দ্বিতীয় যে অংশটি আছে, সেটি হচ্ছে মূলত ঐক্যের ডাক, সম্প্রীতির ডাক।
শোভাযাত্রার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সামনে না থেকে দুই পাশে হাঁটবেন। এই শোভাযাত্রা ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিলো, শুরুতে নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’।