প্রতিনিধি, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)।
একশনএইড বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন ও জেণ্ডার ইস্যুতে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৭ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। ওই কর্মশালা থেকে আগামীতে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাণ-প্রকৃতির উপর এর প্রভাব নিয়ে ভালো প্রতিবেদন লেখা ও প্রকাশের জন্য একশনএইড-এর পক্ষ থেকে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন লিখেছেন।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করেন পাঁচ সদস্যের বিচারকমণ্ডলী। বিচারকমন্ডলীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংবাদিক সামিউল মনির-এর লেখা ‘প্লাস্টিক-পলিথিন বিষে ধুঁকছে সুন্দরবন, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রথম, অনাথ মণ্ডল-এর লেখা ‘নদীর পাতা কুড়িয়ে চলে ওদের জীবন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি দ্বিতীয় এবং বিলাল হোসেন-এর লেখা ‘শ্যামনগর উপকূলে কমে যাচ্ছে কৃষিজমি’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৃতীয় নির্বাচিত হন।
শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল আজম মনির এর সভাপতিত্বে জলবায়ু কনটেন্ট রিপোর্টারদের হাতে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ ও সম্মাননা স্মারক তুলেদেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুন। সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক, একশনএইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার অমিত রঞ্জন দে, এমআরপি সমন্বয়কারী আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
অমিত রঞ্জন দে বলেন, প্রতিবেদনগুলোর মাধ্যমে স্থানীয় ইস্যুগুলো উঠে এসেছে। যা সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। একইসাথে প্রকাশনাটি জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে উপকূলের জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের গণমাধ্যম, উন্নয়নকর্মীদের পাশাপাশী গবেষণাকর্মীদের আরও বিস্তারিতভাবে কাজ করতে সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।