1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
অভয়নগরে গলাকাটা লাশের রহস্য উদঘাটন; ২হত্যাকারী আটক, বার্মিজ চাকু উদ্ধার - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

অভয়নগরে গলাকাটা লাশের রহস্য উদঘাটন; ২হত্যাকারী আটক, বার্মিজ চাকু উদ্ধার

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৬৩ জন খবরটি পড়েছেন

থানায় পুলিশের সংবাদ সম্মেলন

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি।
যশোরের অভয়নগরে গলাকাটা লাশের যুবক ফরিদ গাজী (২৫) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারী দুই যুবককে ১২ঘন্টার মধ্যে আটক করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জানুয়ারি) নিহতের ভাই ফারুক গাজী বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত ফরিদ গাজী উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামে মসজিদে আরাফাত সংলগ্ন রেলবস্তিতে বসবাস করতেন। সে খুলনার কয়রা উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিন গাজীর ছেলে।

আটক দুই হত্যাকারী হলেন, নড়াইল জেলার নড়াইল সদর উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের সাখাওয়াত মোল্যার ছেলে শান্ত (২১) ও তার বন্ধু একই গ্রামের ছবুর মোল্যার ছেলে সাকিব মোল্যা (২১)।

এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে অভয়নগর থানায় যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া
সেলের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) মুকিত সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ফরিদ গাজী হত্যার ১২ ঘন্টার মধ্যে দুই হত্যাকারীকে আটক ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দুই বন্ধুর হাতে খুন হয় ফরিদ গাজী।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই যুবক ফরিদ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার
কথা স্বীকার করেছে। নিহত ফরিদের সঙ্গে জেল খানায় প্রথম পরিচয় হয় শান্ত’র। সেখানে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে জামিনে বেরিয়ে আসে তারা। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ফরিদের ডাকে কাজের সন্ধানে নড়াইল থেকে অভয়নগরে আসে শান্ত ও তার বন্ধু সাকিব। এদিন তারা তিন বন্ধু মিলে উপজেলার নর্থ বেঙ্গল এলাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে এবং জাহাজের স্কট হিসেবে কাজ শুরু করে।

এরপর স্কট হিসেবে শান্ত ও সাকিবের উপার্জিত টাকা তাদের হাতে না দিয়ে ফরিদ নিজের কাছে রাখতে শুরু করেন। শান্ত ও সাকিব তাদের উপার্জিত টাকা ফরিদের কাছে চাইলে সে জানায় হোটেলের খাওয়া বাবদ
কেটে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।

এক পর্যায়ে গত শনিবার (১৪ জানুয়ারি) হত্যাকারী শান্ত ও সাকিব স্যালো মেশিন চুরির প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদকে ভৈরব সেতু সংলগ্ন দেয়াপাড়া গ্রামে সাহারা গ্রুপের সরিষা ক্ষেতে ডেকে নিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় শান্ত ও সাকিব একটি বার্মিজ চাকু দিয়ে ফরিদকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। তারা হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকুটি বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের পাশে মাটিতে পুতে রাখে এবং রক্ত মাখা কাপড়গুলো ভৈরব নদীতে ফেলে দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান জানান, অভয়নগর থানা ও যশোর ডিপি পুলিশের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফরিদের হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নর্থবেঙ্গল এলাকায় অভিযান চালিয়ে শান্ত ও সাকিবকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকাজে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভৈরব সেতু সংলগ্ন শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেয়াপাড়া গ্রামে সাহারা গ্রুপের সরিষা ক্ষেত থেকে ফরিদ গাজীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews