অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি।
অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের তালতলা এলাকায় ৪শ ৮০ শতাংশ সরকারি খাস জমি অবৈধ দখলদারের হাত থেকে দখলমুক্ত করার দাবিতে এবার ওয়ার্ডবাসী মানববন্ধন করেছে।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে খাস জমি দখলমুক্ত করা না হলে স্মারকলিপি পেশ, ঝাড়– মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডবাসীর আয়োজনে যশোর-খুলনা মহাসড়কের তালতলা নামক স্থানে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) একই দাবিতে ওয়ার্ডবাসী নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে চলা ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন, নওয়াপাড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল ইসলাম রেজা ফারাজী।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মোল্যা, ৮নং কাউন্সিলর বিপুল শেখ, সংরক্ষিত ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম, সংরক্ষিত ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদা বেগম লিপি, নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ জাকির হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক
খন্দকার আল ইমরান, পৌর ছাত্রলীগ নেতা মির্জা জামিল আহমেদ তমাল, বাস্তুহারালীগ নেতা সবুর খান, যুবলীগ নেতা রনি হাওলাদার, আবু বায়েজিদ খান মিতুল প্রমুখ।
সরকার সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের সহযোগিতা কামনা করে বক্তারা বলেন, ‘শতবছরের ঐতিহ্য তালতলা হাটের ৪শ ৮০ শতাংশ খাস জমি অবৈধ দখলদার আকরাম সরদার গং ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাহানারা বেগম হাত থেকে উদ্ধার করতে হবে। ওই খাস জমিতে শতবছরের ঐতিহ্য তালতলা হাট পুনরায় স্থাপন করতে হবে। একটি শিশুপার্কসহ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করতে হবে।
অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ওয়ার্ডবাসীর উদ্যোগে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। যার মধ্যে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর মেয়র বরাবর স্মারকলিপি পেশ, রাজপথে ঝাড়ু– মিছিল, অবস্থান কর্মসূচিসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
প্রসঙ্গত, নওয়াপাড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের তালতলা দুর্গাপুর মৌজায় খাস খতিয়ানের ২৪, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৩৭, ৩৯, ৪০, ৪১ নং দাগে ২শ ৬০ শতাংশ খাস জমিতে অবৈধ দখলদার চক্র পাকা স্থাপনা, বালি ও পাথরের ব্যবসা, দুটি সমিলসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এছাড়া ওই একই মৌজায় ১০২ খতিয়ানে ২৩, ২৫, ৫৩ দাগের ৯৬ শতাংশ খাস জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড করা হয়েছে। একই খতিয়ানের ২৯ দাগে ১২৪ শতাংশ জমি আকরাম সরদার গং বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক একটি আদেশ নামার মাধ্যমে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে।