তারিম আহমেদ ইমন।
অভয়নগর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ডুমরবিল-পাথরঘাটা খালটি দখলমুক্ত ও পানি নিষ্কাষণের উদ্যোগ নিলেন অভয়নগরের ইউএনও কেএম আবু নওশাদ।
সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুজ পেজে জলাবদ্ধতারোধকল্পে ৪কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই খালটি সংস্কারের বিষয়টি তুলে ধরেন। ফেজবুক পোস্ট দেখে উপজেলার অনেকেই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ব্যাপক সাড়া দেন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে ইউএনও কেএম আবু নওশাদ খালের পাড়ে উপস্থিত হলে কমপক্ষে ২০০শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক খালটি পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন। খালে থাকা শেওলা, আবর্জনা, কঁচুরি পানা, নেটপাটা অপসারণ করতে থাকেন।
খাল পরিষ্কারে অংশ নেয়া নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা খালটি সংস্কারের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় আমি ৩০জন স্কাউট শিক্ষার্থী নিয়ে হাজির হয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল জানান, ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই খালটি সংস্কার করলে সুন্দলীবাসীসহ মনিরামপুর উপজেলার এক অংশের মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রেহাই পাবে। তাছাড়া আসন্ন বোরো মৌসুমে এ অঞ্চলে ধানের উৎপাদন বেড়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, খালটি সংস্কার করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা গেলে এই ইউনিয়নে বোরো মৌসুমে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ধান বেশি উৎপাদিত হবে। তাছাড়া খালের দুই পাড়ে ফলজ ও বনজ জমি বৃদ্ধি পাবে। ইউএনও কেএম আবু নওশাদ জানান,জলাবদ্ধতার হাত থেকে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে খালটি দখলমুক্ত ও পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
খালটিতে পানি প্রবাহ অবাধে চলাচল করলে স্থানীয় জনগণ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। তিনি আরও জানান, এই খালটি উদ্ধারের পর উপজেলায় অন্য খালগুলোকেও দখলমুক্ত ও পরিষ্কার করার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
খাল পরিষ্কারকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তারু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান, যশোর জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মুহম্মদ রিজিবুল ইসলাম, অধ্যক্ষ রবিউল হাসান, অভয়নগর থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ, ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল, অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ, খায়রুল বাশার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা সৈয়দ মাসুদ তাজ, মো. শাহিন আহম্মেদ,তারিম আহমেদ ইমন, ইউএনও অফিসের সুব্রত রায়, সিধু বিশ্বাস প্রমুখ।