নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নামলেও সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি শান্তবাহিনী। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে কিউইরা। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে শুরুতেই নিজেদের এগিয়ে রেখেছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
বুধবার নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক নাজমুল হোসাইন শান্ত। ব্যাট করতে নেমে সফরকারীদেরকে ১৩৫ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
ক্রিজে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন টাইগার ওপেনার রনি তালুকদার। তবে ১০ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর লিটনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন দলনায়ক শান্ত। ১৯ রান করে হন তিনি। এরপর ঝড়ো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেনি সৌম্য সরকার। ১৫ বলে ২২ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি।
তবে অপর প্রান্ত আগলে রাখেন লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গ দেন তাওহিদ হৃদয়। ১৮ বলে এক ছয়ে ১৯ রান করে তিনিও সাঝঘরের পথ ধরেন। এরপর ১ রান করে আফিফ আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে লিটনের ৩৬ বলে ৪২* এবং শেখ মাহেদীর অপরাজিত ১৯* রানে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন দুই কিউই ওপেনার টিম সেইফার্ট (০) ও ফিন অ্যালেন (১)। পরের বলে গ্লেন ফিলিপিস আউট হলে দলীয় ১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
এরপর কিউই শিবিরের হাল ধরার চেষ্টা করেন ড্যারিল মিচেল। তবে পিচে থিতু হতে পারেননি মিচেলও। ১৪ রান করে আউট হন তিনি। ১৯ রান করে মার্ক চাপম্যান আউট হলে, দলীয় ৫০ রানে পাঁচ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় রান তুলতে থাকেন জেমস নিশান। ২৩ রান করে স্যান্টনার আউট হলেও, ব্যাট চালাতে থাকেন নিশান। তবে ফিফটি পূরণের আক্ষেপ নিয়ে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে টিম সাউদি (৮) ও ইশ সোধি ২ রানে আউট হলে, অ্যাডম মিলনের অপরাজিত ১৬ রানে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। শেখ মাহেদী ও মোস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও রিশাদ হোসেন ও তানজিম হোসেন সাকিব একটি করে উইকেট নেন।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করার সুবাদে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন শেখ মাহেদী। আমাদের সময়ডটকম