নিজস্ব প্রতিনিধি। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে ১৮টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
২৯ শে মে বুধবার ভোররাতে সুন্দরবনের বয়ারসিং এলাকার রায়মঙ্গল নদী থেকে এসব গরু জব্দ করা হয়। প্রায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির ভারতীয় গরুগুলো অবৈধভাবে চোরাইপথে বাংলাদেশে নিয়ে আসছিলেন স্থানীয় চোরাকারবারীরা। অভিযানকালে চোরাচালানের সাথে জড়িতরা বনের মধ্যে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, রেমাল তান্ডবের সুযোগ নিয়ে কৈখালী গ্রামের আব্দুল্লাহ ও রফিক ভারতীয় গরুর দুটি চালান অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। যারপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে তাদের ভারতীয় সহযোগীরা একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে ১৮টি ভারতীয় গরু সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশ বয়ারসিং এলাকায় পৌছে দেয়। বুধবার রাতে গভীর সুন্দরবন দিয়ে কৈখালী নিয়ে আসার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে রায়মঙ্গল নদী থেকে গরু গুলো আটক করে। এসময় গরু বোঝাই ট্রলারটি জব্দ করা হলেও চোরাচালানের সাথে জড়িতরা দ্রুত বনের মধ্যে নেমে গভীরে ঢুকে যায়।
অভিযোগ রয়েছে আব্দুল্লাহ ও রফিকসহ তাদের কয়েক সহযোগী সাম্প্রতিক সময়ে গরু ও মাদকের পাশাপাশি অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা নারীদের পাচারের বিনিময়ে ভারতীয় সহযোগীদের থেকে তারা গরু ও মাদক নিচ্ছে। দু’দিন আগে ভারতীয় দালালদের হাতে তুলে দেয়ার পূর্বে দুই রোহিঙ্গা নারীর স্বর্নালংকারসহ সমুদয় টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। ইতিপূর্বে একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা একই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা নারী পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করলেও আব্দুল্লাহ জানান ঈদ উপলক্ষে কিছু গরু আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স হিসেবে পরিচিত মুকুল মোটা অংকের টাকা না পেয়ে বিজিবি সদস্যদের তথ্য দিয়ে তার গরু গুলো আটক করিয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায় আটক গরু গুলোর মূল্য নির্ধারণের পর বসন্তপুর কাস্টম অফিসে জমা দেয়া হবে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।