ডেস্ক নিউজ।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’ প্রতিষ্ঠার অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর ‘আয়নাঘর’ নামের একটি টর্চারসেল পরিদর্শনের পর তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “এটা একটা বিভৎস দৃশ্য। মানুষের মনুষ্যত্ববোধ বলে যে কোনো জিনিস আছে, সেটার থেকে বহু দূরে গভীরে নিয়ে গেছে। নৃশংস অবস্থা প্রতিটি জিনিস এখানে হয়েছে। যতটা শুনি অবিশ্বাস্য লাগে যে, এটা কি আমাদেরই দেশ, আমাদেরই জগৎ?”
তিনি আরও বলেন, “বিনা কারণে জঙ্গি আখ্যায়িত করে মানুষকে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে নির্যাতন করা হতো। এখন শুনি সারা বাংলাদেশ জুড়েই আরও ২৭-২৮টি আয়নাঘর আছে। আমার ধারণা ছিল শুধু এখানেই আছে। এগুলোর সংখ্যাও নিরূপণ করা যায় না, কতটা জানা আছে, কতটা অজানা আছে।”
ড. ইউনূস গুম কমিশনকে এসব আয়নাঘর আবিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এর আগে সকালে তিনি মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তে ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত ঢাকার তিনটি স্থান পরিদর্শন করেন। এগুলো পূর্বে নির্যাতন কক্ষ এবং গোপন কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। আর তখন বন্দিদের যেখানে রাখা হতো, তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত। কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।