ক্রীড়া ডেস্ক।
নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তৃতীয় শিরোপা জিতল ভারত। আজ দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৫২ রানের লক্ষ্য ভারত টপকে যায় ৬ বল হাতে রেখেই। ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ভারতকে জয় এনে দিয়েছেন লোকেশ রাহুল।
ভারতকে জয়ের কাছে রেখে ফিরলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৮ রান করা পান্ডিয়াকে ফেরালেন জেমিসন। ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যে সংগ্রহ প্রয়োজন ছিল, ব্যাট হাতে সেটা পায়নি নিউজিল্যান্ড। আর বল হাতেও শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। কিন্তু চিরায়ত লড়াকু মানসিকতার কিউইরা ফাইনালে লড়াই করেছে একদম শেষ পর্যন্ত। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে এবং কিপটে বোলিংয়ে চাপও সৃষ্টি করেছে। তবে রোহিত শর্মা, শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুলদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের কারণে সেই চেষ্টা ভেস্তে গেছে কিউইদের। মিচেল স্যান্টনারদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।
কিউইদের দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ভারত। পাওয়ারপ্লেতে ম্যাট হেনরির অনুপস্থিতি ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। শুরু থেকেই স্বভাবজাত ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন রোহিত শর্মা। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শুভমান।
পাওয়ারপ্লের পরেও দেখেশুনেই খেলেছে ভারত। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার পার করেন শতরান। তবে ‘গ্লেন ফিলিপস ইফেক্ট’ এড়াতে পারেনি রোহিত শর্মারা। ১৯তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বল শর্ট এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে চিপ করতে চেয়েছিলেন গিল। তবে ফিলিপসকে ফাঁকি দেয়া অসাধ্য প্রায় ব্যাপার। দুর্দান্ত এক ক্যাচে গিলকে সাজঘরে ফেরান এই ফিল্ডার।
গিলের বিদায়ের ২ বল পরেই আরেকটি ধাক্কা খায় ভারত। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বিরাট কোহলি। কিউইদের ক্রমবর্ধমান স্পিন চাপে দারুণ শুরু করা রোহিতও আর টিকতে পারেননি। ৩ ছক্কা আর ৭ চারে ৮৩ রান করা এই ব্যাটার ফেরেন সামনে এগিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে। রাচিন রবীন্দ্রের বলে তিনি যখন ফেরেন, তখন দলের সংগ্রহ ১২২ রান।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রায় প্রতিটি ম্যাচে দলের হাল ধরেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চাপের মুহূর্তে অক্ষরের সঙ্গে গড়েন ৬১ রানের জুটি। এই জুটিই মূলত লড়াইয়ে এগিয়ে দিয়েছে ভারতকে। কারণ ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার যখন ফেরেন তখন জয় থেকে কেবল ৬৯ রান দূরে ভারত।
এই অল্প রানেও ভালোই চাপ তৈরি করেছিল নিউজিল্যান্ড। ৪০ বলে ২৯ রান করে অক্ষর প্যাটেল যখন ফেরেন, তখন প্রতিযোগিতা জমে উঠেছিল আবার। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া এবং লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে সহজেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় ভারত।