প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশপ্রেম এবং দেশ ও জনগণের প্রতি কর্তব্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানাই যে, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাদের কর্তব্য। আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষ এখন নতুন করে একটি সুন্দর ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের আশা দেখছে। এই প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিতে, যুবকরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কেননা তারাই দেশ গড়তে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে যুব লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি জাতির পিতার ভাষণের সেই অমোঘ মন্ত্র ‘বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবানা’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, জাতির পিতা এই ময়দানেই (৭ মার্চের ভাষণে) একথা বলেছিলেন। আমিও বি করি ‘বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবেনা।’ এরা (বিএনপি) যত কথাই বলুক আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এগিয়ে যাব এবং বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে তুলবো।
সারাদেশে আইটি পার্ক, হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টার গড়ে তুলে তাঁর সরকার যুব সমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলছে যেটা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সম্ভব ছিলনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ঐ এইট পাশ দিয়ে আর মেট্রিক ফেল দিয়ে দেশ চালালে দেশের উন্নতি হয়না।
তিনি বলেন, আজকে তরুণ সমাজকে বলবো তাদের দায়িত্বই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যুব লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তোলার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর দুইটা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সাবেক যুবলীগ চেয়ারম্যান আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম ও হারুনুর রশিদ প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সভায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কেন্দ্রীয়, জেলা ও নগর যুবলীগের নেতা-কর্মী ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র- বাসস