স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর)।
খুলনাগামী (১৭ ডিসেম্বর-রোববার সন্ধ্যায়) কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি রুমের এটেন্ডেন্টের দুর্ব্যবহারে এসি রুমের যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে এসি রুমে উঠা যাত্রীদের সাথে তিনি বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। পরে ট্রেনের পরিচালক এবং ফারুক নামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা ওই এটেন্ডেন্টেকে নিবৃত করেন।
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের ৭২১০নং কেবিনে দায়িত্বে থাকা এটেন্ডেন্ট মোবারকগঞ্জ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। খালি সিটে বসা টিকেটধারী যাত্রীদের তিনি উঠিয়ে দেন। তার এহেন কর্মকান্ডে যাত্রীরা কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে পড়েন। যার দায়িত্ব যাত্রীদের সেবা দেওয়া, কিন্তু সেবার পরিবর্তে তিনি যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
ভুক্তভোগী আদ্য অক্ষর “জ” ধারী এক যাত্রী তার পরিবারের ১১জন সদস্য নিয়ে টিকেট প্রতি ৭০টাকা হারে এগারটি টিকেট কিনে এসি রুমে প্রবেশ করেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশ্যে মোবারকগঞ্জ ছাড়ে। এগারজন যাত্রীদের মধ্যে শিশু, নারী ও পুরুষ যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের প্রচন্ড ভীড়ে টিকেটধারী অনেক যাত্রী হুড় হুড় করে ওই এসি রুমে ঢুকে পড়েন। যাত্রীদের উপস্থিতিতে ওই এটেন্ডেন্ট ( নাম জানা যায় নি) তার দায়িত্বে থাকা এসি রুমে প্রবেশকারীদের টিকেট দেখতে থাকেন এবং টিকেটধারী চেয়ারে বসা এসব যাত্রীদের উঠিয়ে দেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসা “জ” নামধারী ওই যাত্রী অত্যন্ত দু:খের সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এক পর্যায়ে তিনি রেল কর্তৃপক্ষের উর্ধতন কতর্ৃপক্ষের নিকট ওই এটেন্ডেন্টের শাস্তি দাবি করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে ট্রেনে দায়িত্বে থাকা পরিচালক এটেন্ডেন্টের দূর্ব্যবহারের ঘটনায় যাত্রীদের কাছে দু:খ প্রকাশ করেন।
ট্রেনে থাকা একজন নারী যাত্রী দু:খ প্রকাশ করে বলেন-যাত্রীদের সেবার পরিবর্তে হয়রানি করা এই এটেন্ডেন্টের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণে রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।