ডেস্ক রিপোর্ট।।
একজন সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা কক্সবাজারের টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরুকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, তাকে (টেকনাফের ইউএনও) ওএসডি করার নির্দেশ দিয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসনে কাজ করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠছে। সেদিন টেকনাফের ইউএনও যে ভাষায় একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। তাকে আমরা ওএসডি করার নির্দেশ দিয়েছি। এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে কী নির্দেশনা দেয় সেই অনুযায়ী অ্যাকশন নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বলে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে খবর প্রকাশের জেরে কক্সবাজারের সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে দাপ্তরিক মুঠোফোন নম্বর থেকে কল করেন ইউএনও কায়সার। তিনি খবর প্রকাশের কারণ জানতে চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। ঘটনাটি ২১ জুলাই রাত পৌনে ১০টার। গালিগালাজের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।
গালাগালির অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন ইউএনও কায়সার খসরু।
পরে রোববার ইউএনও কায়সার খসরুর ভাষা মাস্তানের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাংবাদিককে ইউএনও’র অকথ্য ভাষায় গালাগালি দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য বলে জানান সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্ট বলেছেন, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির মুখে এমন অশ্লীল শব্দ কাম্য নয়।
এরপর ইউএনও’র গালিগালাজের ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে কথা বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিককে এ তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আমাদের সময়ডটকম