ডেস্ক রিপোর্ট।।
সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমরা একটি স্মারক সই করলাম। তার মাধ্যমে সিলেট বিভাগের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন হবে। সেই সঙ্গে জমিতে সেচ দেয়া সহজ হবে। এতগুলো জমি আমাদের চাষের আওতায় আসবে, ফসল উৎপন্ন হবে– এসব বিষয় নিয়ে যারা সমালোচনা করে, তারা কী এনেছিলেন– এমন প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা তো সবকিছু ভুলে যান।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে যখন ভারত সফরে গেলেন তখন তারা আপ্যায়ন ভালোই করেছিলেন। কিন্তু পরে এসে উনি বললেন, গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। পানিতে বাংলাদেশের যে অধিকার, সেটা বলতে তারা ভুলে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, যারা দেশের স্বার্থের কথা ভুলে যায় তারা আবার সমালোচনা করেন কোন্ মুখে?
তিনি বলেন, জিয়া ক্ষমতায় আসার পর সব ভারতীয় পণ্যের অবাধ বাণিজ্যের দুয়ার খুলে দিয়েছিল। সেই কথা কী দেশবাসী ভুলে গেছেন? বাংলাদেশ সমান-সমান অধিকারে বিশ্বাস করে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা ‘হট টক’ করে তাদের প্রশ্ন করতে পারেন না? বলতে পারেন না আপনারা তো ভুলেই গেছিলেন। ঠিক এভাবে প্রত্যেকটা বিষয় তারা ভুলেই যান।
সেভেন সিস্টার সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আম পাঠালাম, তারাও আনারসসহ নানা কিছু পাঠাল। তাদের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ আছে। তারা আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে তো আমাদের যোগাযোগ থাকবেই। তাদের সঙ্গে পণ্য বিনিময় থেকে শুরু করে বর্ডার হাট করেছি। সেখানে আমাদের স্থানীয়রাও লাভবান হচ্ছেন। আমরা পণ্য বিনিময় করতে পারছি, কিনতে পারছি। এছাড়া স্থল বন্দর, নৌবন্দর বা রেল যোগাযোগ আমারা চালু করতে যাচ্ছি। শুল্কের বিষয়ও আমরা ঠিক করে দিচ্ছি। অবকাঠামো উন্নয়ন আমাদের করতে হবে, সেটাও আমরা করে যাচ্ছি। রাস্তাঘাটের উন্নয়নও আমরা করব।’
চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, মানবপাচার রোধ ইত্যাদি অগ্রাধিকার পায়।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। স্মারক সইশেষে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতি দেন। সফর শেষ করে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল (রাহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সময় নিউজ