1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
আজ কবি সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামে শ্রেণিকক্ষকে শয়নকক্ষ বানালেন উপাধ্যক্ষ তারেক পত্নী জুবাইদা রহমান এখন ভোটার, স্মার্টকার্ড পৌঁছেছে গুলশানে কুড়িগ্রামে গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করতে বিশেষ উদ্যোগ কুড়িগ্রামে আঃ লীগ, যুবলীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার ইরানে হামলার পাল্টা জবাব: ইসরায়েলের ১৩০ ড্রোন ভূপাতিত উত্তম কুমারের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছিলেন অমিতাভ! মার্কিন হাউসের সরকারি ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ ইরানের সঙ্গে সংঘাত থামাতে চায় ইসরায়েল, শান্তির বার্তা পাঠাল আরবদের মাধ্যমে অভয়নগরে নিখোঁজের ১৮ঘন্টা পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের অভিযান: করিম শরীফ বাহিনীর সহযোগী মিঠু অস্ত্রসহ আটক

আজ কবি সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩১৫ জন খবরটি পড়েছেন

এ আর রাকিবুল হাসান ,, কুড়িগ্রাম।।

সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হকের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। জন্মভূমি ও দেশের মানুষের টানে ক্যান্সারে আক্রান্ত কবি নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে ছুটে আসেন লন্ডন থেকে। তার ইচ্ছে ছিল চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন দেশের মাটিতে। ঠিক কয়েকদিন না যেতেই ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন তিনি।

শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী জন্মের শহর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় তাকে। বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী খ্যাত সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ার পৈত্রিক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের মধ্যে সবার বড়। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।

বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হককে “সব্যসাচী লেখক” বলা হয়। তিনি ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। ১৯৫০-এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস “দেয়ালের দেশ”। এছাড়াও তার লেখা অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে খেলারাম খেলে যা, নিষিদ্ধ লোবান, সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন, বারো দিনের জীবন, তুমি সেই তরবারী,কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন ও নির্বাসিতা।

তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা, পরানের গহীন ভিতর, অপর পুরুষ, অগ্নি ও জলের কবিতা। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় ও নুরুলদীনের সারা জীবন সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য। সৈয়দ শামসুল হক মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত তিনি বেশ কিছু সিনেমার চিত্রনাট্য লিখে সুনাম কুড়িয়েছেন। যেমন- মাটির পাহাড়, তোমার আমার, কাঁচ কাটা হীরে, বড় ভালো লোক ছিল ইত্যাদি।

তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। সৈয়দ শামসুল হক লিখেছিলেন, “জন্মে জন্মে বার বার কবি হয়ে ফিরে আসব এই বাংলায়” আর আমরাও বারবার বরণডালা সাজিয়ে রাখব দেশবরণ্য এই কবিকে স্বাগত জানাতে। কবি থাকবেন বাংলার মানুষের কথায় ও কবিতায়। কবি থাকবেন ছন্নছড়া মানুষের ঐক্য প্রতিষ্ঠায়। তাই তো তিনি সংকটময় মুহূর্তে দেশের হাজারো নুরুলদীনের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন “জাগো বাহে কণ্ঠে সবাই”।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews