এ সরকারের ৫ বছরের মেয়াদ শেষে সংবিধানে যেভাবে বলা আছে ঠিক সেভাবেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জনগণের ভোট দেওয়ার যে অধিকার রয়েছে সেটার মধ্যে কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দায়বদ্ধতা জনগণের কাছে।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারো নির্বাচন কী হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। যে দল নির্বাচনে আসেনি, সেটা তো আমাদের দায়িত্ব না। আগামী নির্বাচন যখন হবে আশা করব সব দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
নতুন বছরে সরকারের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং গণতন্ত্রের শেকড় শক্ত করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করছে। গণতন্ত্রের বিকাশ শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই হয়েছে। আমাদের কাছে, শেখ হাসিনা সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছিল জনগণের কাছে সেসব অঙ্গীকার, সেসব অঙ্গীকারের যেগুলো এখনও শেষ হয়নি সেগুলো শেষ করা।
পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল চালু ছিল ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় সাফল্য উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ এ বছর যত উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা সে ইনশাল্লাহ সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সেসব প্রকল্পগুলো শেষ করবো।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ আছে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন রক্ষার্থে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যায় কিনা- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটা আপনারা দেখবেন।
বিভিন্ন সংগঠন মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিবর্তে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যেসব- ক্ষেত্রে জনগণ বিচার পায়নি, সেসব ক্ষেত্রে মানুষ বিচার পেয়েছে। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে কথা বলছেন, তারা কিন্তু অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলেন না। এক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটা আপনারা বিচার করবেন। আমাদের সময়ডটকম