পড়শীর বাড়ির ভিতরে ঢুকে উঁকিঝুঁকি। আর তারই খেসারত দিতে হল বৃদ্ধকে। কুড়ুল দিয়ে কুপুয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী-র দাবি, ওই বৃদ্ধের স্বভাব চরিত্র ভাল ছিল না। তাঁর দিকে কু-নজর ছিল। সেই কারণে এমন ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন তাঁর স্বামী। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাট থানার ঠাকুরনগর হাজরাতলা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। বয়স ষাটের কাছাকাছি। জানা গিয়েছে, গতকাল রাত্রি এগারোটা নাগাদ রবীন্দ্রনাথবাবু তাঁর পড়শি পরিতোষ বিশ্বাসের বাড়ি ঢোকেন। অভিযোগ, উঁকিঝুঁকি মারছিলেন তিনি। এরপরই কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে পরিতোষ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর মাথায় ও মুখে একাধিক কোপের চিহ্ন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত পরিতোষ স্ত্রী কাকলী দাস বলেন, “রবীন্দ্রনাথ আমার দিকে দীঘদিনের কু নজর ছিল। আজ বিকালেও আমার দিকে কু নজরে তাকাচ্ছিল। বিষয়টি লক্ষ করেছিল আমার স্বামীও।” কাকলির দাবি, রাতে বাড়ি ঢুকে উঁকি মারছিল রবীন্দ্রনাথ। তখন তার উপর কুড়ুল নিয়ে হামলা চালায় তার স্বামী পরিতোষ। অপরদিকে, মৃত রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী সবিতা মণ্ডল বলেন,”আমার স্বামী আমাদের সঙ্গে থাকতেন না। তবে উনি এলাকায় সকলের উপকার করতেন। কী কারণে খুন করা হয়েছে তা বলতে পারছি না।” তিনি আরও দাবি করলেন, কোনও সম্পর্ক ছিল কি না তা ও তিনি জানেন না। অপরদিকে, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান,পুরনো শত্রুতার কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে।