প্রতিনিধি,শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মোটরভ্যান ও লোহার গেট ‘গায়েব’ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহনসহ জরুরী বিভাগের প্রয়োজনে উপজেলা পরিষদ এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উক্ত প্রকল্পে অর্থায়ণ করেছিল।
এতদিন বিষয়টি চাপা থাকলেও সাতক্ষীরা -৪ আসনের সাংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন হাসপাতাল পরিদর্শনে যেয়ে তা উদঘাটন করেন। বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে কতৃপক্ষ। জানা যায় উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে আতাউল হক দোলন করোনা রোগীদের কথা বিবেচনায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহেনর কাজে ব্যহারের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি মোটরভ্যান দেন। তিনি সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর শনিবার হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় উপস্থিত হয়ে সরকারি অর্থায়নে বরাদ্দের ভ্যান ‘গায়েব’এর বিষয়টি নিশ্চিত হন। একইভাবে জরুরী বিভাগের নিরাপত্তায় প্রায় অর্ধ্ব লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত গেট ‘উধাও’ হওয়ার বিষয়টিও সামনে আসে।
অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক নেওয়াজ হোসেন ও ভান্ডার রক্ষক মনোদীপ মন্ডল আরও কয়েক জন সহযোগীর সহায়তায় গোপনে ভ্যান ও গেট বিক্রি করে সে টাকা ভাগ করে নেয়। ইতিমধ্যে নতুন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগদান করায় কাগজপত্র সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি বিষয়টি তারা চেপে যায়। তবে বুধবার হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় হাজির হয়ে সাংসদ সদস্য আতাউল হক দোলন বিষয়টি উম্মোচন করেন। হিসাব ও ভান্ডার রক্ষকের দায়িত্বে থাকা এ দু’জনের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের ব্যবহৃত কোয়ার্টার ভাড়া আদায়সহ অবৈধ এবং ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল সরবরাহের মত গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।
তবে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে ভান্ডার রক্ষক মনোদ্বীপ মন্ডল জানান এসব জিনিসপত্র রক্ষাবেক্ষন তার কাজ না। হিসাব রক্ষকসহ সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভ্যান বিক্রির বিষয়ে জানতে পারেন। হিসাব রক্ষক নেওয়াজ হোসেন বলেন গেট বিক্রির সাথে তিনি জড়িত না। ভ্যান বিক্রির সাথে প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ অন্যরা জড়িত।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও বদলী হয়ে যাওয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার অজয় সাহাকে পাওয়া যায়নি। তবে বতর্মান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান বলেন, বিষয়টি সামনে আসার পর খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে কতৃপক্ষের অগোচরে সরকারি বরাদ্ধের জিনিসপত্র বিক্রির ঘটনায়।