মামুন রণবীর,নেত্রকোণা।
কথা-কবিতা-গানে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো শরৎ উৎসব ১৪৩২৷ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) উপজেলার শহীদ সন্তোষ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সোমেশ্বরী নদীর চরে জেগে ওঠা কাশবাগানে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি বিরিশিরি এর পরিচালক কবি পরাগ রিছিল। সংগঠনের সভাপতি পলাশ সাহার সভাপতিত্বে ও কবি মামুন রণবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি এম এ জিন্নাহ,আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল,কবি এনামূল হক পলাশ,সাংবাদিক পল্লব চক্রবর্তী,এডভোকেট মানেশ সাহা,কবি জীবন চক্রবর্তী, কবি জন ক্রসওয়েল খকসি,কবি দুনিয়া মামুন,সাংবাদিক দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, কাজল মিয়া,টুকন সরকার,সায়মন খান,জাহাঙ্গীর আলম রিপন এবং উমর ফারুক।
এই উৎসবে অতিথিরা বলেন, শরৎ প্রকৃতিতে স্নিগ্ধ রূপ নিয়ে হাজির হয়। সোমেশ্বরী নদীর বিস্তীর্ণ চরে শুভ্র কাশফুলের দোলা,নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা,অদূরে গারো পাহাড় সবমিলিয়ে শরৎ এখানে অনেক বেশি নৈসর্গিক। ঋতু বৈচিত্র্যের এই বাংলাদেশে শরৎ আমাদের কাছে পরম আরাধ্য এক ঋতু। শরতের আবহ এই সোমেশ্বরীর চরে নান্দনিকভাবে ফুটে উঠেছে। শরৎ উৎসব আমাদের নাগরিক জীবনে এক ভিন্ন আমেজ ও আনন্দ যোগ করেছে। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক সেটি এখানেই ধরা দিয়েছে।
এই নাগরিক উৎসবে গান পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী আরজ আলী এবং বাউল পথিক লোকমান।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, নাগরিক জীবনে একরাশ প্রশান্তি এনে দেয় শরৎ। যাপিত ব্যস্ততার ভীড়ে পরস্পর কিছু সুন্দর মুহূর্ত উদযাপনের উপলক্ষ্য এনে দেওয়া ও আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লালন করেই এই শরৎ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসব সকলের মগজে মননে এনে দিয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বার্তা। বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।